শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ ৫ বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগ। রংপুরের মিঠাপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু ওসমান গনির স্ত্রীর সাবিহা বেওয়াসহ তার ভাই আবু ছালেক, সাজেদা বেগম, ছাহেরা বেগম, সুরাইয়া বেগম, ছামিনা বেগমের মায়ের পাওয়া সম্পত্তি আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে। পীরগঞ্জ থানার মাহমুদপুরের ইসলাম মন্ডল, রুহুল আমিন, সৈকত মিয়া, নুরুল ইসলাম এবং একই থানার মরারপাড়ার নুর আলম, নুর আক্তার সেলিনা আক্তার ফরিদা, ছালেহা, শামছুল নাহার কল্পনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে এবং পারিবারিক জমি সংক্রান্ত দ্ব›েদ্ব মামলা চলমান রয়েছে। এঘটনায় একতরফা মীমাংসার জন্য ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে একাধিক প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়,পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জোতবাজের খতিয়ান নং-১৮০ জে এল নং ১২১ মোট ১৩ দাগে ১০.১৩ একর জমির মধ্যে রমজান আলী ও ছালেহা খাতুন মুল মালিক, দুই নামে প্রকাশিত হয়। দুই ভাই বোনের মধ্যে রমজান আলী ০.৬৬৬ অংশ ছালেহা খাতুন ০.৩৩৪ অংশ।কিন্তু মৃত্যু ছালেহা খাতুনের ছেলে মেয়েরা তাদের মায়ের অংশের সম্পত্তি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে, এবং এই মর্মে কোর্টে ৪ টি মামলা হয়েছে গত বছর। বাটোয়ারা মামলা নাম্বার অন্য ২৯৩/২২,রেকর্ড সংশোধন মামলা নং ১২/২২,সাতধারা ৫৭৭/২২ এবং ১৪৪/১৪৫ ধারার মামলা ও করা হয়েছে। মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, মূল মালিক ছালেহা খাতুন মোট ১৩ দাগের মধ্যে ৪ দাগের সম্পত্তির ৯৯ শতাংশ অংশ নিজেই বিক্রি করেন।অবিশিষ্টি তার ০.২৩৫ শতাং সম্পত্তি এখনো আছে।যা বর্তমানে মোট সম্পত্তির সাথে বাদীর মামাতো ভাই বোনেরা ভোগদখল করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাবিহা বেওয়া বলেন, তার মায়ের প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে, বিভিন্ন সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিশী বৈঠকে ডাকলে ও তারা আসে নাই, তাই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, আইনগত ব্যবস্হা নিয়েছি, এ ব্যাপারে আইনি সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব। আমার মৃত্যু স্বামীর ভাতার পাওয়া টাকা দিয়ে আমি মামলা মোকাদ্দমা পরিচালনা করছি, যা খুব কষ্টসার্ধ্য, অন্য ভাই বোনদের অবস্হা খুব খারাপ, কারো নদী ভাঙ্গা এলাকায় বিয়ে হয়েছে, তাদের সব কিছু নদী কেড়ে নিয়ে গেছে, এমতাবস্থায় আমি মিঠাপুকুর থেকে এসে কোর্টচত্তরে মামলা পরিচালনা করছি, জমি থেকে আমাদের বাসা দূরে তাই বিবাদীগন এই সুযোগে জমি গুলো নিজের আয়ত্বে নিয়ে, আমাদের ফসল দেওয়ার কথা বলে, বন্দক রাখে, ফসল দেয় নাই। এই অবস্থায় গত ৭ জুলাই সকাল ১০টায় আমরা আমাদের পাওনা অংশে জমিতে চাষ দিয়ে ধানের চারা রোপন করা হয়। রোপন শেষে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বলছে, আপনারা আর নামবেন না, নোটিশ আসছে, কোন প্রকাশ গন্ডগোল করা যাবে না।